ছত্রাক গোত্রী মাশরুম ও তার পুষ্টিগুন ও উপকারীতাগুলো হলো 

মাশরুম মূলত ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ। স্বাদ, পুষ্টি ও ঔষধিগুণের সম্পূর্ন মাশরুম বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাশরুম চাষ আমাদের দেশের পুষ্টি সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। বাংলাদেশের আবাহওয়া মাশরুম চাষের জন্য বেশ উপযোগী। মাশরুম চাষ করে অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হওয়া যায়।কারন এটা চাষ করতে উর্বর জমির দরকার হয় না।বাড়ির পাশের পরিত্যাক্ত জায়গাতেও এটার চাষ সম্ভব।শহরে ছোট্ট বারান্দাতেও টবের মধ্যে মাশরুম লাগিয়ে পরিবারের এই পুষ্টিকর আমিষ জাতীয় সবজিটির চাহিদা মেটানো সম্ভব।মাশরুমে

মাশরুমে রয়েছে, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি উপাদান। মাশরুমে প্রোটিনের পরিমান অনেক।মানব শরীরের জন্য আবশ্যক ৯ টি অ্যামাইনো এসিডের সব কয়টা বিদ্যমান।

 

★ নিম্ন মাশরুমের পুষ্টিগুন ও এগুলো আমাদের কি কি উপকার করে তা আলোচনা করা হলো  :

 

১/ মাশরুমের মধ্যে প্রচুর ক্যালসিয়াম,ফসফরাস ও ভিটামিন-ডি। শিশুদের দাঁত ও হাড় গঠনে এই উপাদানগুলো অত্যন্ত উপকার। 

 

২/ মাশরুমের উপাদানগুলো টিউমার ও ক্যান্সারের রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর।

 

৩/ মাশরুমে রয়েছে ভিটামিন বি, সি ও ডি, ইরিটাডেনিন, এনটাডেনিন ইত্যাদি উপাদান। যা আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। 

 

৪/ মাশরুম নিয়মিত খেলে আমাদের হার্ট ভালো থাকে এবং হার্টের সমস্যাও দূর হয়। হার্টের সমস্যা না হলে বা কমে গেলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে।

 

৫/ খাদ্য হজমেও সহায়তা করে এবং আমাশয় নিবারনেও কার্যকর।

 

৬/ অ্যান্টি এলার্জেন ও নিউক্লিক এসিড থাকায় এলার্জি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

 

৭/ সোডিয়ামের মাত্রা কম হওয়ায় কিডনি রোগ হবার সম্ভাবনা কম থাকে। হেপাটাইটিস বি ও  জন্ডিস প্রতিরোধে দারুণ কার্যকরী।  

 

৮/ মাশরুমে রয়েছে খনিজ লবন যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

 

৯/ মাশরুমে রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা আমাদের অনেক্ক্ষণ পেট ভরা রাখে। ফলে ক্ষিদে কম লাগে এবং এতে করে ওজনও কমে।

 

১০/   মাশরুমে  রয়েছে নিয়াসিন ও রিবোফ্লাবিন, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। মাশরুমে প্রচুর পানি থাকে যা ত্বককে নরম ও কোমল রাখে।

 

১১/ এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সালফার রয়েছে যা খুবই উপকারীএবং শরীরের রক্ত স্বল্পতাও দূর করে। 

 

★ তবে মাশরুমের মত দেখতে এক ধরনের ছত্রাক রয়েছে যা  ব্যাঙ্গের ছাতা নামে পরিচিত এবং এটি বিষাক্ত। তাই খাওয়ার জন্য বাছাই করার সময় অবশ্যই দেখে নিতে হবে। মাশরুম মোটামুটি একটু শক্ত হয়, উপরের অংশ কিছুটা কুচকানো, লম্বাটে ও একটা মিষ্টি গন্ধযুক্ত।   

পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ মাশরুম অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। মাশরুমের পুষ্টিমান তুলনামূলকভাবে অত্যাধিক এবং এর প্রোটিন অতি উন্নতমানের এবং মানব দেহের জন্য খুবই উপকার।

 

লিখেছেন – ত্রোপা চক্রবর্তী

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *