হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১৭

আপনি পাচটা মিনিট বসুন। আমি সেলুন থেকে দাড়িগোঁফ ফেলে দিয়ে আসছি। আপনাকে চা দিয়ে যাবে। চা খেতে যতমণ লাগে।’ [ আমি বসলাম। চা খেলাম। সে দাড়িগোঁফ কামিয়ে ভদ্র হয়ে ফিরে এল । আমরা মিনিট পাঁচেক কথা বললাম। সে-ই হড়বড় করে কথা বলল, আমি শুনলাম। যখন চলে আসছি তখন সে বলল, চল তোমাকে এগিয়ে দিয়ে আসি।… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১৭

হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১৬

“আচ্ছা আমি আর কোনাে কথাই বলব না। তুই গল্প কর আমি শুনি। বলে আছিস কেন? আয় শুয়ে শুয়ে গল্প করি।’  “তুমি শুয়ে থাকো। আমি বসে বসে গল্প করি । একটা শর্ত আছে মা।’   কী শর্ত?” গল্পটা শেষ করেই আমি ঘুমুতে যাব। “কি যে তাের পাগলের মতো কথা। গল্প শেষ করে ঘুমুতেই তো যাবি ।।… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১৬

হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১৫

মনােয়ারা বিরক্ত গলায় বললেন, তাের ধারণা আমি যা করি সব তাের বাবাকে খুশি করার জন্যে?  ‘হ্যা আমার তাই ধারণী। আগের জন্মে তুমি কী ছিল জানাে মা? আগের জন্মে তুমি ছিলে কোনো মহারাজার প্রধান চাটুকার। ইয়েস ম্যান। এই জন্যেও সেই ভাব রয়ে গেছে।’   চুপ করবি?”  না চুপ করব না। তােমার উপর আমার খুব রাগ লাগে… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১৫

হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১৪

হেডমাস্টার সাহেব বললেন, স্যার কী বললেন? নগ্ন শরীরে খাদ্যবস্তু সাজিয়ে  হ্যা আমরা ভালােই আছি। আমাদের সভ্যতা তাে অতি প্রাচীন। তার পরেও সতীদাহের মতো কুৎসিত প্রথা ছিল। হিল না? ওরা যা করছে ত মানুষদের নিয়ে করছে আর আমরা জাস্ত্র মানুষ পুড়িয়ে মেরে ফেলছি।’   এ্যাসিসটেন্ট হেডমাস্টার সাহেব মুগ্ধ গলায় বললেন, স্যার আপনি এত বিষয় জানেন, এত… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১৪

হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১৩

আজহার সাহেব স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে খুশি-খুশি গলায় বললেন, মনোয়ারা বাইরে চা-টা পাঠাবার ব্যবস্থা কর । আর শােনাে এদের একবেলা আমি খাওয়াতে চাই। পোলাও টোলাও কর। বেচারারা এই শীতের রাতে দূর দূর থেকে আসে। এত রাতে না-খেয়ে ফেরত যায়। রাপ লাগে ।   মনােয়ারা বললেন, তারা আসে তােমার গল্প শুনতে। গল্প শুনতে পাচ্ছে এতেই তারা খুশি। … Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১৩

হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১২

জীবন নিশ্বাস নিতে পারবেন।  নেত্রকোনা থেকে ফেরার পর মেয়েকে দেখে তার ভালো লাগল । বেশ হাসি খুশি মেয়ে। কয়েকদিন ধরে মীরার মুখে যে অন্ধকার ভৰি ছিল তা নেই। বরং খানিকটা ঝলমলে ভাব চলে এসেছে। অবশি এটা অভিনয়ও হতে পারে। তার বড় মেয়ে অভিনয় ভালাে জানে। ছােটটা একেবারেই জানে না।   মনােয়ারা মীরাকে বললেন, কোনাে সমস্যা… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১২

হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১১

আপনি তাহলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—বাবার ঘরবাড়ি বিষয়সম্পত্তি দেখাশােনাই আপনার জীবনের এত?”  “চাচাজীর জন্যে কিছু করতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার।   কেন? বাবা বড় মানুষ বলে ? সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলে ? | লােক জনের কাছে বলতে পারলে আমি একজন বিচারপতির বিষয়  দেখাশোনা করি—এই কারণে ”  এ “জ্বি না। উনি আমাকে অত্যধিক স্নেহ করেন।’  অত্যধিক স্নেহ করলেও তার… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১১

হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১০

একটা আবার হুইল বড়শি। হুইল বড়শি কী করে টানতে হয় শো জানে না। সাধারণ বড়শি টানার নিয়ম জানে না। শুধু এইটুকু জানে ফাংলা পানির নিচে তলিয়ে গেলে যাচকা টান দিতে হয়। শেফা ঠিক করে রেখেছে। যদি হুইলের বড়শির কান উবে যায় তাহলে সে বাবা বলে বিকট চিৎকার দেবে। বাকি যা করার বাবা করবেন। দেলােয়ার ভাই… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-১০

হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-৯

যেদিন আমরা এখানে আসব, তার আগের দিন সালের ভাইয়ের সঙ্গে আপার খুব ঝগড়া হয়েছে।  ‘সাবের ভাই মানে কি লম্বা ছেলেটা “হ্যা। আমি ডাকি লম্বু ভাইয়া। আপা তাতে রাগ করে।’ ‘সাবের ছেলেটার সঙ্গে মীরার ঝগড়া হয়েছে? তোকে বলেছে ?   তুমি পাগল হয়েছ বাবা? আপা আমাকে কিছু বলবে? টেলিফোনে ঝগড়া হল তো, আমি আড়াল থেকে শুনলাম… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-৯

হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-৮

আজহার সাহেব স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন, মা নাস্তা বানাচ্ছেন, তুমি মাকে সাহায্য কর। আর আমার জন্যে এখানে চা পাঠিয়ে  “কুয়াশা থাকবে না, রোদ উঠবে।’   মনোয়ারা চলে গেলেন। বাগানে একা-একা হাটতে আজহার সাহেবের খারাপই লাগছে। মটরশুটি খাবার আইডিয়াটা ভালাে ছিল। মেয়েরা রাজি হল না । মেয়েরা অনেক দূরে সরে গেছে। গ্রামের মধ্যে বন্ধু বান্ধব নেই,… Continue reading হুমায়ূন আহমেদের লেখা মীরার গ্রামের বাড়ি খন্ড-৮