ঔষধি গুন সম্পূর্ণ কাঠালের বিচি! অবাক হচ্ছেন? আসুন জেনে নেই এর গুণাগুণ সম্পর্কে
জাতীয় ফল কাঁঠাল শুধু আমাদের দেশেই নয় পুরো এশিয়া মহাদেশই এটি একটি পরিচিত ফল। গ্রীষ্মকালীন ফল কাঁঠালের খোসার নিচের কোয়া যেমন খাওয়া হয় তেমনি বিডিও খাওয়া যায়।এই কাঁঠাল বিচি খুবই সুস্বাদু এবং এই কাঁঠাল বিচি নানা রকম সবজি রান্না করা যায়।
পুষ্টিগুনে ভরপুর কাঁঠাল বিচির যে যে গুনাগুন রয়েছে সেগুলো হলো : প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও আঁশ, ভিটামিন – এ ও বি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াস, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও কপার। এগুলো চোখ, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে কাজ করে।
আসুন জেনে নেঔ কাঁঠাল বিচির গুনাগুন কি কি এবং আমাদের কি কি উপকার করে :
১/ কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন-এ।ফলে রাত কানা বা অন্ধত্ব প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
২/ নিয়মিত কাঁঠাল বিচি খেলে ত্বক হবে ভিতর থেকে উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত। কারন এতে রয়েছে ফাইবার। এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৩/ কাঁঠালের বিচি ত্বকের ভিতরের টক্সিন বের করে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৪/ এতে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান।যা বিভিন্ন রকমের জীবানুকে দূরে রাখে এবং হজমে সহায়তা করে।
৫/ কাঁঠালের বিচি ক্যান্সার প্রতিরোধেও কার্যকরী।কারণ কাঁঠালে বিচি নিয়মিতভাবে খেলে দেহের ভেতরে বেশ কিছু শক্তিশালী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট্রসের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৬/ কাঁঠাল বিচি শুকিয়ে গুড়া করে রাখলে, সেই গুড়া গ্যাস বা অম্বল হলে খেলে চট জলদি উপকার পাওয়া যায়।
৭/ কাঁঠাল বিচিতে রয়েছে ডায়াটারি ফাইবার। তাই কাঁঠাল বিচির গুড়া খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।
৮/ কাঁঠাল বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমান প্রোটিন এবং উপকারী নানা রকমের মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস। এগুলো আমাদের মস্তিষ্কের ক্যামিকেল ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সহায়তা করে।ফলে বিষন্নতা দূর করতেও কাঁঠাল বিচি কার্যকর।
৯/ মাছ মাংস যারা কম খান বা একেবারেই খান না তাদের জন্য কাঁঠালের বিচি আমিষের চাহিদা মেটায়। কাঁঠাল বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমান প্রোটিন।
১০/ কাঁঠাল বিচিতে রয়েছে পটাশিয়াম যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
১১/ কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে আয়রন যা মানব শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে।
উপরের আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে কাঁঠালের বিচি ঔষধিগুন সম্পূর্ণ। তাই যারা এখনও কাঁঠালের বিচি না খেয়ে ফেলে দেন তাদের এটি খাওয়া শুরু করা উচিত।
লিখেছেন –
ত্রোপা চক্রবর্তী